




“সায়েন্স নিউজ” নামের একটি গণ’মাধ্যমের বিচারে বাছাই করা ১০ বিজ্ঞানীর একজন হয়েছেন বাংলা’দেশি তরুণী তনিমা তাসনিম অনন্যা। কৃষ্ণগহ্বর(Black Hole) নিয়ে গবেষণার জন্য তিনি এই স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি।
সায়েন্স নিউজের ওয়েবসাইটে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ–সংক্রান্ত একটি প্রতি’বেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়ে ষষ্ঠ-বারের মতো এমন বিজ্ঞানীর তালিকা প্রকাশ করল সায়েন্স নিউজ।
‘এসএন টেন: সায়েন্টিস্ট টু ওয়াচ’ নামের এই তালিকায় শুরুতেই স্থান পেয়েছেন তনিমা তাসনিম। কৃষ্ণগহ্বরের নিখুঁত ছবি তৈরি করেছেন তিনি।





গবেষণার এ কাজকেই বিস্তারিত-ভাবে উল্লেখ করেছে সায়েন্স নিউজ। একে ‘অসাধারণ গবেষণা’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
সায়েন্স নিউজ ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি একটি স্বাধীন ও অ-লাভজনক প্রতিষ্ঠান।
বিজ্ঞান, ওষুধ ও প্রযুক্তির হাল-নাগাদ তথ্য সর’বরাহ করাই এর প্রধান লক্ষ্য। যুক্ত’রাষ্ট্রের ওয়াশিংটন-ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠান ছয় বছর আগ থেকে তরুণ ও ক্যারি’য়ারের মাঝামাঝি থাকা বিজ্ঞানীদের একটি শীর্ষ তালিকা প্রস্তুত করে আসছে।
এই তালিকায় ৪০ বছর বা তার কম বয়সী বিজ্ঞানীরা স্থান পেয়ে থাকেন। এবার সেই তালিকাতেই বাংলাদেশি তনিমা তাসনিম জায়গা করে নিলেন। সায়েন্স নিউজের
ওয়েব’সাইটে লেখা আছে, তনিমা তাসনিম একজন মহাকাশ-বিজ্ঞানী। বর্তমানে ডার্টমাউথ কলেজের সঙ্গে তিনি যুক্ত আছেন। একসময় ঢাকার বাসিন্দা তনিমা কৃষ্ণগহ্বরের পূর্ণাঙ্গ চিত্র এঁকেছেন।





তাতে তিনি দেখিয়েছেন, কীভাবে কৃষ্ণগহ্বর-গুলো বেড়ে ওঠে এবং পরিবেশে কী প্রভাব রাখে। কৃত্রিম বুদ্ধি’মত্তাকে ব্যবহার করে তিনি এ কাজ করেছেন।
সায়েন্স নিউজের ওয়েব*সাইটে লেখা হয়েছে, পাঁচ বছর বয়সে ঢাকায় থাকার সময় থেকেই তনিমা তাসনিমের মধ্যে মহাকাশের স্বপ্ন বুনে দেন তাঁর মা। তিনি মেয়েকে তখন শোনাতেন মঙ্গলে অভিযানে যাওয়া পাথফাইন্ডার মহাকাশ*যানের গল্প।
সেই থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ বাড়তে থাকে তনিমার।
তিনি জানান, ওই সময় থেকেই মহাকাশবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার স্বপ্ন দেখতেন।
তনিমা তাসনিম এর আগে নাসা ও সার্নে ইন্টার্নশিপ করেছেন। এ ছাড়া কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়েও কিছুদিন পড়াশোনা করেছেন তিনি।





২০১৯ সালে ইয়েল ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন তনিমা।