Mon. May 29th, 2023

    …………………………

    কোয়েল পালনে কোটিপতি হয়েছেন বগুড়ার জেবুন্নাহার। মাত্র ৫ হাজার টাকা নিয়ে কোয়েল পালন শুরু করে এখন তিনি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তার দেখাদেখি এলাকার অনেকেই এখন কোয়েল পালন শুরু করেছেন। তার কাছ থেকে নিচ্ছেন কোয়েল পালন বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ।

    জানা যায়, আব্দুল বারী নামের এক ব্যক্তির পরামর্শে কোয়েল পাখি পালনের সিদ্ধান্ত নেন জেবুন্নাহার। এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ঘুরতে শুরু করে ভাগ্যের চাকা। এখন জেবুন্নাহার একজন সফল উদ্যোক্তা। নিজের উপার্জিত ১৫ লাখ টাকায় কিনেছেন কোয়েলের বাচ্চা ফোটানোর ইনকিউটেবর এবং গড়ে তুলেছেন একটি পাঁচতলা ভবন। সেখানে চলে কোয়েল পাখি পালন, পরিচর্যা ও বাচ্চা ফোটানো।

    …………………………

    জেবুন্নাহার বলেন, স্বামী বেকার থাকায় কোনো কুল কিনারা পাচ্ছিলাম না। এমন সময় কোয়েল পালনের পরামর্শ পাই। সে সময় মাত্র ৫ হাজার টাকা দিয়ে আড়াই হাজার পিস কোয়েল পাখির বাচ্চা কিনে খামার করি। একমাস পর বিক্রি করে ১০ হাজার টাকা লাভ করি। সেই টাকা দিয়ে আরও চার হাজার বাচ্চা কিনে পুরোদমে শুরু করি কোয়েল পাখির খামার।

    স্থানীয়রা জানান, বগুড়া সদরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোয়েল পাখির খামার রয়েছে সাবগ্রাম ইউনিয়নের আকাশতারা, ধুমাপাড়া ও বড়িয়া বটতলা গ্রামে। এসব গ্রামের নারীরা জেবুন্নাহারের হ্যাচারিসহ ওই এলাকার অন্যান্য হ্যাচারি থেকে এক দিনের বাচ্চা কেনেন প্রতি পিস ৬ টাকায়। এই বাচ্চাগুলো খামারে ২৪ দিন পালন করেন। তবে ১৮ দিন থেকেই বাচ্চা বিক্রির উপযুক্ত হয়। এ সময় বগুড়া, সিলেট, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যাপারীরা এসে বাচ্চাগুলো কিনে নিয়ে যান।

    তথ্যসূত্রঃ” আধুনিক কৃষি খামার