




…………………………





রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ফেরার জন্য ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনে ‘এক্সট্রা ফেয়ার টিকিট’ কিনেও ট্রেনে উঠতে না পারায় বিক্ষোভ করেন শতাধিক শিক্ষার্থী। আজ বুধবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভের পর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সহায়তায় পরবর্তী ট্রেনে উঠতে সক্ষম হন এসব শিক্ষার্থীরা।
…….
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শেষ করে বিকেলে ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করলে, অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে নামিয়ে দেওয়া হয়। টিকিট কিনেও ট্রেনে উঠতে না পারায়, স্টেশনের গেট আটকে বিক্ষোভ করেন ভর্তি পরীক্ষার্থীরা।





…………………………





বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে প্রায় দুই ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
জানা গেছে, ভর্তি পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা রেল স্টেশনে ভিড় করেন। তবে, পর্যাপ্ত আসন না থাকায় বিপাকে পড়েন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দিতে স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করে রেল কর্তৃপক্ষ। নির্ধারিত আসনের টিকিট শেষ হয়ে গেলে ট্রেনে দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রীদের যাওয়ার জন্য এই বিশেষ টিকিটের ব্যবস্থা করে থাকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
তবে, যাত্রীর পরিমাণ বেশি হওয়ায় প্রায় দেড় শতাধিক পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক স্ট্যান্ডিং টিকিট কেনার পরও ট্রেনে ওঠার সুযোগ পাননি।
কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, তারা ট্রেনে ব্যাগ ও লাগেজ রেখে প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে আসে, পরে ট্রেনে উঠতে গেলে ভিড়ের মধ্যে তাদেরকেও আর ট্রেনে উঠতে দেওয়া হয়নি। এতে তাদের জরুরি জিনিসপত্র হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করছেন।
শিক্ষার্থীরা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, অনেকেই ২০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে এই টিকেট কেনেন। তারপরও ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেওয়া হয়।





…………………………





একপর্যায়ে ট্রেনে চড়তে না পারা শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরবর্তীতে রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিবারণ চন্দ্র বর্মণ ঘটনাস্থলে ছিলেন। তিনি রাতে ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘টিকিট নেওয়া সব শিক্ষার্থীকে ট্রেনে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদেরকে কমিউটার ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, খুলনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসে ১০৬ আসনের একটি অতিরিক্ত কোচ লাগানো হয়েছে।’
ওই ট্রেনে ইতোমধ্যে অধিকাংশ শিক্ষার্থী ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এ ছাড়া, শিক্ষার্থীদের ব্যাগ ও লাগেজ উদ্ধারের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেন তিনি।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মিহির কান্তি গুহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ট্রেনে বাড়তি যাত্রীর চাপ থাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।’
যাত্রীদের টিকিট দিয়ে নামিয়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থী মূলত টিকিট বাদেই ট্রেনে যেতে চেয়েছিলেন। তাদেরকে যেতে দেওয়া হয়নি। এ থেকেই বিক্ষোভের শুরু।’
এ ছাড়া, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘নির্ধারিত আসনের বেশি যাত্রী বহন করতে গেলে স্ট্যান্ডিং টিকেট দেওয়া হয়। তবে, কারও কাছ থেকে বেশি টাকা নেওয়া হয়নি।’