বগুড়ার মেধাবী মুখ মেফতাউল আলম সিয়াম। তার ইচ্ছা তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) পড়াশোনা করবেন। প্রকৌশলী হয়ে দেশের সেবা করতে চান তিনি। এরই মধ্যে তিনি রেকর্ড নম্বর পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানবিষয়ক বিভিন্ন বিভাগ-ইনস্টিটিউটে ভর্তি পরিক্ষায় ‘ক’ ইউনিটে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দাড়িদহ গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে সিয়াম। তার বাবা একটি বেসরকারি সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিন ছেলের মধ্যে সিয়াম সবার বড়। ছোট বেলা থেকেই তিনি মেধাবী। তার অপর যমজ দুই ভাই মোবাশ্বির আলম সানি ও মুনজির আলম সামি বগুড়া জিলা স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে।
সিয়ামের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হন বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে। সেখান থেকে এসএসসি পাস করেন। পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ লাভ করেন। অষ্টম শ্রেণিতে জিপিএ-৫ ও জেনারেল বৃত্তি পান। এসএসসিতে জিপিএ-৫ ও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান তিনি। এরপর সিয়াম বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে ভর্তি হন। সেখানেও তিনি মেধার স্বাক্ষর রাখেন। জিপিএ-৫ ও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছেন।
গত বুধবার (৩ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। তিনি পরীক্ষায় ১২০ নম্বরের মধ্যে ১১৭ দশমিক ৭৫ নম্বর পান।
‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৯৪ হাজার ৫০৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১০ হাজার ১৬৫ জন (পাসের হার ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ, ফেল ৮৯ দশমিক ২৪ শতাংশ)।
‘ক’ ইউনিটের এই ভর্তি পরীক্ষা হয়েছিল গত ১ অক্টোবর। গত এপ্রিল মাসে প্রকাশিত মেডিকেলের সম্মিলিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে ২৮২ দশমিক ৭৫ নম্বর পেয়ে ৫৯তম হয়েছেন মেফতাউল আলম। পড়ার সুযোগ পেয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। এর আগে মার্চে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ভর্তি পরীক্ষায়ও প্রথম হন তিনি।
শুক্রবার সিয়াম ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম হয়েছি। মেডিকেল কলেজে ৫৯তম এবং ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে প্রথম স্থান অধিকার করেছি। আমি প্রকৌশলী হতে চাই। বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে বর্তমানে ঢাকায় আছি। বুয়েটে সুযোগ না হলে ঢাবির প্রকৌশল বিভাগে ভর্তি হব। শনিবার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত পর্বে অংশ নিব।’