১. আণবিক সংকেত জানার জন্য স্থূল সংকেত প্রয়োজন– ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: আণবিক সংকেত জানার জন্য স্থূল সংকেত প্রয়োজন। কারণ যৌগের আণবিক সংকেত তার স্থূল সংকেতের যেকোনো সরল গুণিতক। কোনো কোনো ক্ষেত্রে যৌগের সংকেত ও আণবিক সংকেত অভিন্ন। অর্থাৎ যৌগের আণবিক সংকেত=(যৌগের স্থূল সংকেত)n, যেখানেn =যৌগের আণবিক ভর / স্থূল সংকেতের আণবিক ভর।
২. পরমাণুতে কীভাবে বর্ণালি সৃষ্টি হয়?
উত্তর: শক্তির উৎস থেকে মৌলের অসংখ্য পরমাণুর একই ইলেকট্রন বিভিন্ন পরিমাণে শক্তি শোষণ করে উদ্দীপিত অবস্থায় বিভিন্ন নির্দিষ্ট শক্তির উচ্চশক্তির স্তরে লাফিয়ে চলে। পরে শক্তির উৎস সরিয়ে নিলে এ অসংখ্য হাইড্রোজেন পরমাণুর ইলেকট্রন শক্তি বিকিরণ করে নিম্ন শক্তিস্তরে ফিরে আসতে পারে। তখন বিভিন্ন রেখা বর্ণালীর সৃষ্টি হয়ে থাকে।
৩. পর্যায়বৃত্ত ধর্ম বলতে কী বোঝো?
উঃ মৌল সমূহের ভৌত, রাসায়নিক ধর্মাবলি তাদের ইলেকট্রন বিন্যাসের উপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল। যেহেতু মৌল সমূহের ইলেকট্রন বিন্যাস পর্যায়ক্রমে পরিবর্তিত হয়, সেহেতু মৌল সমূহের কিছু ধর্ম পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়। এসব ধর্মকে পর্যায়বৃত্ত ধর্ম বলা হয়। যেমন-ইলেকট্রন আসক্তি, আয়নীকরণ বিভব, তড়িৎ ঋণাত্মকতা, পারমাণবিক ব্যাসার্ধ ইত্যাদি মৌলের পর্যায়বৃত্ত ধর্ম।
৪. পর্যায় সারণিতে একটি মৌল একটিমাত্র স্থান দখল করে কেন?
উঃ প্রতিটি মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা নির্দিষ্ট বলে প্রতিটি মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস ও নির্দিষ্ট এবং একটি ইলেকট্রন বিন্যাস অন্যটি থেকে ভিন্ন। আবার প্রতিটি পারোনি সংখ্যার জন্য পর্যায় সারণিতে একটি নির্দিষ্ট অবস্থান হয়েছে। তাই পর্যায় সারণিতে একটি মৌল একটিমাত্র স্থান দখল করে।
৫. ফসফরাস মৌলের পর্যায় সারণিতে অবস্থান ব্যাখ্যা কর।
উঃ কোনো মৌলের সর্ববহিঃস্থ শেলের ইলেকট্রন সংখ্যা অনুসারে তার গ্রুপ এবং শেলের স্তরের সংখ্যা অনুসারে পর্যায়ে নির্ধারণ করা হয়। ফসফরাস (15) এর ইলেকট্রন বিন্যাস 2,8,5। এরশেল সংখ্যা তিনটি এবং সর্ব বহিঃস্থস্তরে ইলেকট্রন সংখ্যা পাঁচটি সুতরাং ফসফরাস তৃতীয় পর্যায়ে 5+10=15 নং গ্রুপে অবস্থান করবে।
৬. ইথানল হাইড্রোকার্বন নয় কেন?
উঃ শুধুমাত্র হাইড্রোজেন ও কার্বন দ্বারা গঠিত দ্বিমৌল যৌগসমূহ কে হাইড্রোকার্বন বলে। হাইড্রোকার্বনে C ও H সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ থাকে। ইথানল যৌগে হাইড্রোজেন ও কার্বনের সাথে অক্সিজেন উপস্থিত আছে বলে ইথানলকে হাইড্রোকার্বন বলা যাবে না।
৭. পটাশিয়াম কে ক্ষার ধাতু বলা হয় কেন?
উঃ পটাশিয়াম কে ক্ষার ধাতু বলা হয়। কারণ পটাশিয়াম গ্রুপ 1-এর মৌল এবং পানির সাথে বিক্রিয়া করে তীব্র ক্ষারীয় পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড যৌগ উৎপন্ন করে।
আবার পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড অম্লের অমরত্বকে বিনষ্ট করতে পারে এবং বিক্রিয়ায় লবণ ও পানি উৎপন্ন করে।
মো. আব্দুল মোত্তালেব, সহকারী অধ্যাপক, বিএএফ শাহীন কলেজ, কুর্মিটোলা, ঢাকা।