




…………………………





প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুচ্ছ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধাতালিকা অনুযায়ী খুলনা, চট্টগ্রাম বা রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন টাঙ্গাইলের আরাফাত হোসেন।
….
ছোট বেলা থেকে প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন থাকলেও টাকার অভাবে এখন তার ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেতে আরাফাত এখন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বৃত্তি প্রাপ্তির পথ খুঁজছেন। আরাফাত টাঙ্গাইল শহরের পূর্ব আদালতপাড়ার আরিফ হোসেন ও হেনা রহমানের ছেলে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় তার বাবা মায়ের বিচ্ছেদ হয়। এরপর আত্মীয় স্বজনের সহায়তায় চলে তার লেখাপড়া। বড় ক্লাসে উঠার পর পড়াশোনার পাশাপাশি শুরু করেন টিউশনি।





…………………………





২০১৮ সালে টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পান। পরে ২০২০ সালে ঢাকার নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসিতেও গোল্ডেন জিপিএ ৫ পান।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুচ্ছ পরীক্ষার ফল বের হয়েছে। মেধাতালিকা অনুযায়ী খুলনা, চট্টগ্রাম বা রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবেন আরাফাত।
আরাফাতের মা হেনা রহমান ডায়াবেটিস, অ্যাজমাসহ নানা রোগে আক্রান্ত। লেখাপড়ার পাশাপাশি টিউশনি এবং আত্মীয় স্বজনদের সহায়তায় চলে তাদের সংসার। এ অবস্থায় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আর লেখাপড়ার খরচ কিভাবে চালাবেন, এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আরাফাত ও তার মা।
আরাফাতের মা হেনা রহমান জানান, ছোট বেলা থেকেই ছেলের স্বপ্ন ছিল প্রকৌশলী হওয়ার। চান্স পেলেও এখন ছেলেটাকে কিভাবে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবো এখন আছি এই চিন্তায়। এরপরও আমি অসুস্থ। অনেক কষ্ট করে ছেলেকে এ পর্যন্ত পড়িয়েছি। এখন একটু সহায়তা পেলে ছেলের স্বপ্ন পূরণ হতো।
স্বপ্ন নিয়ে আরাফাত বলেন, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি আমাকে লেখাপড়ার জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করত, তাহলে আমার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ হতো। তা না হলে আমার ভর্তি আর পড়াশোনা দুটোই অনিশ্চিত হয়ে পরবে।