Wed. May 31st, 2023

    …………………………

    হাঁস পালনে তালেব ও লাকি দম্পতি দারিদ্র্যতা জয় করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী পৌর শহরের বৈরিহরিণমাড়ী গ্রামের নিজ বাড়িতে স্ত্রীর সহযোগিতায় আবু তালেব গড়ে তুলেছেন তাদের হাঁসের খামার। আর এই খামার দিয়েই                                               তারা হয়েছেন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী। তাদের দেখাদেখি এখন অনেকেই হাঁসের খামার করতে আগ্রহী হয়েছেন।

    খামারি আবু তালেব বলেন, বিয়ের পর থেকেই অন্যের জমিতে কাজ করে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলাম। সবসময় ভাবতাম কি করে এই কষ্ট-সংকীর্ণ জীবন থেকে মুক্তি মিলবে। স্থানীয় এক খামারির পরামর্শে এক বছর আগে জেলার সুন্দরগঞ্জ থেকে                                             ক্যাম্বেল জাতের ২০টি হাঁসের বাচ্চা দিয়ে খামার শুরু করি। প্রতিটি হাঁস কিনেছিলাম ৩৫ টাকা দরে। চার মাস পর হাঁসগুলো ডিম দিতে শুরু করে।

    …………………………

    এরপর ডিম বিক্রির টাকা জমিয়ে আরো হাঁসের বাচ্চা কিনতে থাকি। এভাবে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে                                    আমার খামারে হাঁসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫০টি। এর মধ্যে ৩শ হাঁস নিয়মিত ডিম দিচ্ছে। বর্তমানে খাদ্য ও চিকিৎসাসহ অন্যান্য খরচ নির্বাহের পর দৈনিক ৭০০-৮০০ টাকা আয় হচ্ছে যা মোট মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা।

    আবু তালেবের স্ত্রী লাকি বেগম জানান, তাদের দুবেলা পেট ভরে খাবার যোগাতে আমরা হিমশিম খেতাম তার ওপর                                          ছেলেদের পড়াশুনার খরচ যোগাতে ধারদেনা করতে হতো। বর্তমানে হাঁসের খামার থেকে অর্জিত আয় থেকে সহজেই সন্তানদের পড়াশুনাসহ অন্যান্য ব্যয়ভার বহন করতে পারছি।
    পলাশবাড়ী প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, এই দম্পতির তাদের প্রচেষ্টায় হাঁসের খামারটি গড়ে তুলেছেন। আমরা তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

    …………………………

    তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার