




…………………………





ভিক্ষাবৃত্তি করে দিন চলে এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। যা পান তাই দিয়েই চলতে হয় তাঁদের। মাসে কতই বা আয় হয় তাঁদের? এই নিয়ে কোনও ধারণা হয়তো অনেকের নেই। তবে অনুমানের ভিত্তিতে বলা যায়, কতই বা হবে ৫ হাজার বা তার কিছু বেশি। কিন্তু এই বিচিত্র দেশে এমনও ভিখারি আছেন যাঁদের মাসিক আয় ভাল সরকারি কিংবা বেসরকারি কর্মীদেরও হার মানাবে।
…….
হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি! তাঁরা বিলাসবহুল জীবনযাপনও করেন। এমনই একজন ‘ধনী’ ভিখারি হলেন ভরত জৈন। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একাধিক রিপোর্টে দাবি, ভরতই নাকি দেশের সবচেয়ে ‘ধনী’ ভিখারি। তাঁর মাসিক আয়, সম্পত্তির পরিমাণ শুনলে চোখ কপালে উঠবে। বছর ঊনপঞ্চাশের এই ব্যক্তির মাসিক আয় ৭৫ হাজার টাকারও বেশি! শুধু তাই নয়, ভরতের দু’টি অ্যাপার্টমেন্টও আছে। যার এক একটির দাম প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা। বাবা, দুই ভাই, স্ত্রী এবং দুই ছেলে নিয়ে সংসার তাঁর। ভরতের একটি দোকানও আছে। ওই দোকান ভাড়া দিয়ে মাসে ১০ হাজার টাকা পান ভরত। জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের প্যারেল এলাকাতে ভিক্ষা করেন তিনি।





…………………………





তবে শুধু ভরতই নন, খাস কলকাতার লক্ষ্মী দাসও এই ধনী ভিখারিদের তালিকায় রয়েছেন। জানা গিয়েছে, ১৯৬৪ সাল থেকে ভিক্ষা করেন লক্ষ্মী। একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, লক্ষ্মীর বর্তমান মাসিক আয় ৩০ হাজার টাকা। এমনকী ব্যাঙ্কে প্রচুর টাকাও গচ্ছিতও রয়েছে তাঁর। আর এমন খবর আসতেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ভিখারিদের এত সম্পত্তির পরিমাণ জেনে চক্ষু চড়কগাছ আমজনতার।