Thu. Jun 8th, 2023

    …………………………

    রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের তিন মেয়াদের ভিসি ড. একেএম আজহারুল ইসলাম ‘বিশ^ বিজ্ঞানী এবং বিশ^বিদ্যালয় র‌্যাংকিং’ এ পদার্থ বিজ্ঞানে বাংলাদেশে ৪র্থ (রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে ১ম) স্থান অর্জন করেছেন।
    ……
    মূল্যায়নের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি হলো এইচ ইনডেক্স, আই-টেন ইনডেক্স, টোটাল সাইটেশন এবং অন্যান্য। বিজ্ঞানের সকল ধারার বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবনী, গবেষণা, অর্জন ইত্যাদি বৈজ্ঞানিক কর্মকান্ডের মূল্যায়নে সারা পৃথিবীতে কর্মরত প্রায় ৮৮ লক্ষ বিজ্ঞানীর মধ্যে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ভিত্তিতে ৭লক্ষাধিক বৈজ্ঞানিকের র‌্যাংকিং করা হয়।

    …………………………

    এতে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের ৯৯ জনসহ বাংলাদেশের ১৭৯৪ জন বিজ্ঞানী র‌্যাংক প্রাপ্ত হন। এতে এশিয়া মহাদেশের ১,৫৩,২৭৩ জন এবং বিশে^র ৭,০৯,৩৮৯ জন বিজ্ঞানীর র‌্যাংকিং করা হয়। নির্বাচিত বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে প্রাপ্ত স্কারের ভিত্তিতে ভিসি ড. এ. কে. এম. আজহারুল ইসলাম বাংলাদেশে ৪র্থ, এশিয়া মহাদেশে ১৫৫১ তম এবং বিশে^ পদার্থ বিজ্ঞানীগণের মধ্যে ৮৭৭৩ তম র‌্যাংকিং লাভ করেন।

    ড. এ. কে. এম. আজহারুল ইসলাম ১৯৬৮ সালের জানুয়ারিতে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞানে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি ২০০২ সালে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
    গবেষণা জার্নালে প্রফেসর আজহারুল ইসলামের ২৬৭টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। এসবের প্রায় সবগুলি প্রবন্ধই প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জার্নালে। তিনি দেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধান মন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রী ছাড়াও দেশ-বিদেশ থেকে গোল্ডমেডালসহ এপর্যন্ত মোট ১৬ টি পুরস্কার লাভ করেছেন। এর মধ্যে পদার্থ বিজ্ঞানে গবেষণার স্বীকৃতিস্বরুপ তিনি বাংলাদেশ থেকে প্রথম ২০০১ সালে আন্তর্জাতিক ওঝঊঝঈঙ পুরস্কার লাভ করেন।
    এ যাবৎ তিনি ১৭টি গ্রন্থ রচনা করেন। এর মধ্যে নয়া দিল্লি থেকে ১টি, নিউইয়র্ক থেকে ১টি এবং বৈরুত থেকে ১টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এছাড়া দেশ ও বিদেশে পদার্থ বিজ্ঞানসহ অন্যান্য জনপ্রিয় বিষয়ে তাঁর ১৪৯ টি আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে। ড. আজহারুল ইসলাম এখনও সক্রিয়ভাবে গবেষণা ও গ্রন্থ রচনার কাজ করে যাচ্ছেন।

    …………………………

    ড. ইসলাম ১৯৪৬ সালে বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দী উপজেলার হাটশেরপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দবলাইল গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। দেশের একমাত্র শিক্ষা বোর্ড ঢাকা থেকে তিনি মেট্রিক পরীক্ষায় ৮ম স্থান অধিকার করেন। তিনি পরবর্তী সকল পাবলিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। ১৯৬৭ সালে মাস্টার্স পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ সমগ্র পাকিস্তানে প্রেসিডেন্ট পদক প্রাপ্ত ২ জনের মধ্যে তিনি একজন।

    বগুড়ার এ কৃতি সন্তান সারা বিশে^র বিজ্ঞানীর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ র‌্যাংকিং অর্জনের মাধ্যমে দেশের মর্যাদা বিশ্বদরবারে সমুন্নত করেছেন। তাঁর এ অর্জনে সুশীলসমাজ, সুধীজন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং তাঁর সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন।