




…………………………





আমাদের দেশ এর ভার্সাটাইল গায়কদের মধ্যে অন্যতম গায়ক হলেন সোনু নিগম। আর তাঁর গানের জাদুতে এক প্রকার বলা যায় মুগ্ধ গোটা দুনিয়া। আসলে গান যেন তাঁর রক্তে ছিল সেই ছোট থেকেই। কারণ গায়ক সোনুর বাবা অগম কুমার নিগম এবং প্রয়াত মা শোভা নিগম দুজনেই ছিলেন গায়ক।
…….
যে কারনে শৈশব থেকেই তাঁর মধ্যে গান গাওয়ার বেশ অভ্যাস তৈরি হয়েছিল। আর এছাড়া তিনি ছোটো থেকেই তাঁর বাবা-মাকে বিভিন্ন বিয়ে এবং আনন্য অনুষ্ঠানে গান গাইতে দেখে দেখেই বড়ো হয়ে উঠেছেন।





…………………………





গায়ক সোনু নিগম কোনো ধনী পরিবারের সন্তান ছিলেননা। আর তাই এমন একটা সময় ছিল যে যখন তাকে গিটার বা তবলা কিনে দেওয়ার সামর্থ্য ছিলনা তাঁর বাবা-মায়ের। তাই সেইসময় তিনি বেঞ্চ বাজিয়েই অনুশীলন করতেন।
পড়াশোনা এবং গানের রেওয়াজ ও মঞ্চে গান গাওয়া এবং হারমোনিয়াম চর্চার মধ্যেই দিয়েই সোনুর শৈশব কেটেছে এমনটাই বলে জানা গেছে। আর শৈশবে, সোনু নিগম ভারতীয় শাস্ত্রীয় গায়ক এবং ওস্তাদ গোলাম মুস্তফা খানের কাছেই গানের তালিম নিয়েছিলেন।
আর মাত্র ৩ বছর বয়সেই সোনু নিগম মঞ্চে প্রথমবার পারফরম্যান্স করেছেন। আর সেবার একটি লাইভ শো’তে তিনি তাঁর বাবার সঙ্গে একটি জনপ্রিয় গান, কেয়া হুয়া তেরা ওয়াদা’ গেয়েছিলেন। তবে জীবনে অনেক অনেক স্ট্রাগল করেই আজ এই সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন জনপ্রিয় সোনু নিগম। আর মাত্র ১৮ বছর বয়সেই তিনি মুম্বাই পাড়ি দিয়েছিলেন।





…………………………





আর কেরিয়ারের শুরুর দিকে তাঁকে কুমার সানু, উদিত নারায়ণ আর অভিজিতের মতো কিংবদন্তি গায়কদের সঙ্গে কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীনও হতে হয়েছিল। আর সবচে বড় কথা সেসময় মিউজিক কম্পোজাররা নতুনদের খুব সহজে সুযোগই দিতে চাইতেন না।
আর পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে প্রথমবার একটি সিনেমায় গান গাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন গায়ক সোনু নিগম। যদিও সিনেমাটি মুক্তি পায়নি। তবে কালক্রমে, টি-সিরিজের মালিক, গুলশান কুমারের চোখে পড়ে গিয়েছিলেন সোনু নিগম। আর সোনুর গানের প্রতিভা দেখে তিনি এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন, তিনি সোনু নিগমকে “বেওয়াফা সনম” -প্রজেক্টে গান গাওয়ার মত বড় সুযোগ দিয়েছিলেন।
আর তারপর সে-সময় সোনুর গলায় ‘আচ্ছা সিলা দিয়া’ গানটা দারুন হিট হয়েছিল। তার পর থেকেই মানুষের কাছে ধীরে ধীরে তিনি পরিচিতি পেতে থাকেন। আর ১৯৯৫ সালে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে সোনুর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল বছর ১৫-র ছোট বাঙালি কন্যা মধুরিমার। সেখানে প্রথম দেখাতেই মধুরিমাকে সোনুর খুবই ভালো লেগেছিল বলেই জানা যায়।





…………………………





আর তারপর বন্ধুত্ব এবং বন্ধুত্ব থেকে তাঁদের মধ্যে শুরু হয় প্রেমের সম্পর্ক। এরপর ২০০২ সালে ভ্যালেন্টাইনস ডে-তেই সোনু আর মধুরিমার বাগদান হয়ে যায়। এবং ২০০৭ সালে সোনু-মধুরিমার জীবনে আসে তাঁদের প্রথম সন্তান নিভান। কিন্তু একসময় সোনুর বিবাহিত জীবনে বেশ সমস্যাও দেখা দিয়ছিল।
আর যার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল সোনু নিগমের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। শোনা যায় যে, গায়িকা সুনিধি চৌহান এবং স্মিতা ঠাকরের সাথে নাকি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন সোনু নিগম। তবে ছেলে নিভানের কথা ভেবেই মধুরিমার সঙ্গে দাম্পত্য জীবনে ফিরে আসেন সোনু নিগম।