Tue. Jun 6th, 2023

    …………………………

    হস্তরেখাবিদ্যা তথা পামিস্ট্রি বলে, মানুষের ভাগ্যের সব কিছুই তার হাতে ‘লেখা’ থাকে। এবং সেই অনুযায়ীই সব কিছু ঘটে থাকে। যেমন হাতের আয়ুরেখা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আয়ুসীমা নির্দেশ করে, ভাগ্যরেখা নির্দেশ করে তার ভাগ্য আর বুদ্ধিরেখা নির্দেশ করে তার মননশক্তির। এসব প্রথাসম্মত চিরচেনা রেখা ছাড়াও হাতে কিছু বিশেষ রেখাও থাকে।
    …….
    তবে সাধারণ মানুষ দৈনন্দিন জীবনে টাকা-পয়সার কথাটাই একটু বেশি ভাবেন। কেউ কেউ ভাবেন, তিনি কীভাবে ধনী হয়ে উঠবেন? বলা হয়, সেটাও উল্লেখ থাকে হাতের রেখাতেই। হাতের বিশেষ রেখাসংস্থান নির্দেশ করে জাতক কতটা ধনসম্পত্তির অধিকারী হবেন।

    …………………………

    যে রেখাটি টাকা-পয়সার দিকটা নির্দেশ করে সেটাকে ‘অর্থরেখা’ বলা হয়। আপনার হাতের এ রেখাটি যদি একেবারে সোজা ও সরলরৈখিক হয়, তবে এটা জানায় যে, আগামী দিনে নিশ্চিতভাবে আপনি ধনবান হয়ে উঠবেন। আর যদি অর্থরেখাটি ততটা সোজা না হয়, একটু বাঁকা থাকে, তবে, টাকা এলেও তা থাকবে না, খরচ হয়ে যাবে। নিয়মিত সঞ্চয় না ঘটলে ধনবান হওয়ার সুযোগও জাতকের থাকবে না!

    আর একটা জিনিস জেনে রাখা ভালো, হাতের সব রেখাই পরস্পরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই অর্থরেখাও ভাগ্যরেখা, জীবনরেখা ও বুদ্ধিরেখার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। অন্য রেখাগুলো যদি অর্থরেখার সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ থাকে তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ধনবান হন। এবং তা স্থায়ীও হয়।

    …………………………

    রেখা দেখে কীভাবে নিজেই বুঝতে পারবেন, আপনি ধনী হবেন কিনা?

    আপনার হাতের শুক্র অঞ্চল যদি যথাযথ থাকে এবং সেখানে যদি তিল-জাতীয় কিছু থাকে, তবে তা প্রচুর ধনসম্পত্তির সূচক। শনির শিখরগামী ভাগ্যরেখা যদি নিচের দিকে (কবজির দিকে) কাটা হয়, তবে তা মঙ্গলসূচক ধরা হয়। এ রেখা-সংস্থানও টাকা আনার সূচক।

    ভাগ্যরেখা যদি রবিক্ষেত্রের কাছে গিয়ে থেমে যায় তবে তা ভাগ্যলক্ষ্মীর যোগ তৈরি করে। তার জীবনে সুখ নেমে আসে। অনামিকার নিচের অংশ এবং শুক্র অঞ্চলের শীর্ষরেখা যদি স্পষ্ট হয় তবে সেটিও মঙ্গলসূচক মনে করা হয়। এ রকম রেখা-সংস্থান যার হাতে তার কখনও টাকার অভাব হয় না। এরা জীবনে প্রচুর উপার্জনও করেন। আর যদি কনিষ্ঠাঙ্গুলি থেকে ভাগ্যরেখা শুরু হয় এবং তা নিরবচ্ছিন্ন ভাবে শনিক্ষেত্রের উপর পর্যন্ত প্রসারিত থাকে তবে সেটিও ধনের সূচক। এ রেখাসংস্থান যার তার অর্থভাগ্য ভালো হয়।