Sat. Dec 9th, 2023

    …………………………

    বর্তমানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার একটি লাভজনক প্লাটফর্ম হল যে কোন ব্যবসা। অল্প বিনিয়োগের মাধ্যমে যদি কয়েকটি পাইকারি ব্যবসা আপনারা শুরু করতে পারেন তাহলে এতে খুব শীঘ্রই মুনাফা হবে তাতে সন্দে’হ নেই। এবার আপনাদের মনে হয়তো প্রশ্ন উঠছে এই ক্ষেত্রে আপনারা কোন কোন ব্যবসার সাহায্য নেবেন! আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে আমর’া এই বি’ষয়ে আলোচনা করতে চলেছি।
    …..
    এমনি ব্যবসার থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কিছু বিশেষ দায়িত্ব অতিরিক্ত থাকে। কম দামে বাজার থেকে মাল তোলা,পাশাপাশি সেই সব জিনিসকে ঠিকভাবে সংরক্ষিত করে রাখা একটি বড় দায়িত্ব। আসুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক আমা’দের এই বিশেষ প্রতিবেদন। পাইকারি ব্যবসার প্রসঙ্গে আমর’া প্রথমেই বলব কাপড়ের পাইকারি ব্যবসার কথা।

    …………………………

    এই ব্যবসা শুরু করতে চাইলে মোটামুটি 8 থেকে 10 লক্ষ টাকা পুঁজি থাকা বাঞ্ছনীয়। এই ক্ষেত্রে আপনারা থান কাপড়ের পাশাপাশি শাড়ি বা পোশাকের ব্যবসা করতে পারেন।বর্তমানে ফ্যা’শনের চাহিদাই এতটাই বেড়ে চলেছে যে এই ব্যবসা লাভজনক হবে।

    দ্বিতীয়ত আমর’া বলব চালের পাইকারি ব্যবসার কথা। পশ্চিমবঙ্গের ধানের উৎপাদন অত্যন্ত ভালো। তাই চালের ব্যবসা যে লাভজনক হবে তা আর বলার অ’পেক্ষা রাখে না। তবে এই ব্যবসা শুরু করতে গেলে বিভিন্ন ধরনের চাল এবং তাদের সম্যক বাজার মূল্য সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন। তৃতীয়ত আপনারা স্টেশনারি পণ্যের ব্যবসা করতে পারেন। সম্প্রতি বর্তমান সময়ে এই ব্যবসায় আয় দিন প্রতিদিন বেড়েই চলেছে।

    কিন্তু মাথায় রাখবেন এই ব্যবসার ক্ষেত্রে আয়ের মা’র্জিন কিছুটা কম থাকে।প্রস্তুতকারকের থেকে একজন পাইকারি ব্যবসায়ী বা হোলসেলার ৩০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত মা’র্জিন পান।তা থেকে খুচরো ব্যবসায়ীকে ২৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ অবধি মা’র্জিন দিতে ‘হতে পারে। ফলে গড়ে আপনার মা’র্জিন দাঁড়াবে ৫-১০ শতাংশ। চতুর্থত স্টেশনারি ব্যবসার কথা বলা যায়।বিভিন্ন মুদি দোকানে পাইকারি দরে মাল সা’প্লাই করতে পারেন।তেল, মশলা, ডাল ই’ত্যাদি নানা পণ্যের ব্যবসা করতে পারেন। কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটরের থেকে পাইকারি হারে জিনিস সংগ্রহ করে পৌঁছে দিন খুচরো ব্যবসায়ীর কাছে।

    …………………………

    পঞ্চমত যারা এই পাইকারি ব্যবসা করতে ইচ্ছুক তারা ব্যাগের পাইকারি ব্যবসা করতে পারেন। কিন্তু এই ব্যবসাটি করার জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে পুঁজি থাকা আবশ্যক।কিন্তু অবশ্যই ব্যাগের গু’ণমান ভালো হওয়ার পাশাপাশি এর চাহিদা কতটা বাড়ছে সেই দিকে নজর থাকতে হবে। ষষ্ঠত টি-শার্টের ব্যবসা করতে পারেন। ক্রমাগত বিভিন্ন টি শার্ট তৈরির কারখানা বেড়েই চলেছে। তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এই টি শার্ট পরার প্রবণতা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে।

    পাইকারি হারে টি-শার্ট এনে আপনার স্থানীয় বাজারে ‘বিক্রি করতে পারেন। স’প্ত মত এই তালিকায় স্থান দিতে পারেন ঘড়ির পাইকারি ব্যবসা কে। এই ব্যবসাকে যথাক্রমে দুই ভাগে ভাগ করা যায় ব্র্যান্ডেড লাক্সারি ঘড়ির পাইকারি ব্যবসা ও নন-ব্র্যান্ডেড ঘড়ির পাইকারি ব্যবসা।সরাসরি প্রস্তুতকারক কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করুন ও সম্পর্ক স্থাপন করুন।

    এরপর বিভিন্ন ঘড়ির দোকানের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ও ঘড়ি অর্ডার দেওয়ার আগে ঘড়ির দোকানের সঙ্গে চুক্তি করুন। সবশেষে আমর’া বলব থ্রি পিস বা চুরিদারের পাইকারি ব্যবসার কথা।পশ্চিমবঙ্গের যেকোনও জেলাতেই এই পোশাকের চাহিদা রয়েছে ও সেই চাহিদা বাড়ছে। তাই স্বাভা’বিকভাবেই এটি একটি লাভজনক ব্যবসা ‘হতে পারে।তবে আগে থেকে আপনাকে পাইকারী মূল্যে জিনিস কেনা থেকে শুরু করে কোন বাজারে ব্যবসা করছেন তার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকতে হবে। বুঝেসুঝে পা না ফেললে ভবি’ষ্যতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।