Sat. Jun 10th, 2023

    করোনা*কালে স্কুল-কলেজ সব বন্ধ। আর এই অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে অনেক শিক্ষার্থীই উদ্যোক্তা হচ্ছেন। কেউ সময়টাকে কাজে লাগাতে চেষ্টা করছেন, কেউবা আরও বড় স্বপ্ন নিয়ে এগোচ্ছেন।






    এমনই একজন উদ্যোক্তার কথা আজ আপনাদের জানাবো।
    বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার মহিষাবাড়ি পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃ*ত আব্দুল খালেক মণ্ডলের ছেলে মেহেদুল ইসলাম সাগর।
    তিনি বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। করোনার জন্য কলেজ বন্ধ হওয়ায় তিনি এই অবসর সময়কে কাজে লাগাতে ছোট’বেলার লালিত স্বপ্ন নার্সারি তৈরি করেন।

    প্রথমে তিনি নার্সারি তৈরিতে বিভিন্ন বাঁধার সম্মুখীন হলেও পাশের গ্রামের কৃষক আপেল মিয়ার সহ’যোগিতায় তার পৈত্রিক জমি ও কিছু জমি ইজারা নিয়ে মোট ২.১৫ একর জমিতে চারা লাগানো শুরু করেন।






    মাত্র ২০ হাজার টাকা মূলধন দিয়ে শুরু করে মাত্র কয়েক মাসে কঠোর পরি’শ্রমের মাধ্যমে আজ তার নার্সারির চারার অর্থমূল্য ৭ লক্ষ টাকা।

    সাগরের এই সাফল্যের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘”আমার ছোটবেলা থেকেই একটা স্বপ্ন ছিল নার্সারি করার, কিন্তু পরি’বারের সাপোর্ট না থাকায় শুরু করতে পারিনি।
    তবে, করোনার এই অবসর সময় কাটাতে নিজেই উদ্যোগ নেই নার্সারি করার। পাশের গ্রামের নার্সারির মালিক মরিয়ম ও কৃষক আপেল ভাইয়ের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ শুরু করি। চারা তৈরির সামগ্রী আমি আশেপাশের এলাকা থেকে সংগ্রহ করি।’






    “‘আমি শ্রমিক দিয়ে কাজ করাতে তেমন ইচ্ছুক নই। তাই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নিজেই কাজ করি। তবে, মাঝে মাঝে এলাকার ছোট ভাইয়েরা এসে কাজে সাহায্য করে।
    তবে, আমি আমার নার্সারিতে যখনই কাজ করতে আসি, তখনই মন আনন্দে ভরে যায়। আমার ভালো লাগার অন্যতম এক জায়গা হয়ে উঠেছে এই নার্সারি।
    মূলত করোনা’কালের জন্য না, আমার আগে থেকেই শখ ছিল নার্সারি করার। আশা করছি একদিন এই নার্সারির মাধ্যমেই আমি প্রতিষ্ঠিত হতে পারবো’, এমনটাই বলেন মেহেদুল ইসলাম সাগর।

    বর্তমানে মেহেদুল ইসলাম সাগরের নার্সারিতে ১২ হাজার আমের চারা, ২ হাজার মালটার চারা, দের হাজার লিচুর চারা, বড়ইয়ের চারা ৪ হাজার, নটকনের চারা ৩ হাজার ও বাদামের চারা আছে ১ হাজার।






    তথ্যসূত্র: রাইজিং বিডি।
    © Worthytalkbd.com