




…………………………





মানুষ কঠোর পরিশ্রম, অধ্যাবসায় আর মনোবল দিয়েই পৃথিবী জয় করেছে। এর অনেক প্রমাণ রয়েছে আমাদের সমাজে। এমনকি জন্মগতভাবে কিংবা দুর্ঘটনাজনিতভাবে অনেকেই শরীরের একটি অঙ্গ হারিয়ে জয় করেছেন পৃথিবী।
……
স্বাভাবিক মানুষের চেয়েও তারা ভালোভাবে জীবনযাপন করেন। এমন অনেকের কথাই তো জেনেছেন। আজ এমন যমজ দুই ভাইয়ের কথা জানাবো যারা মনের জোড়েই নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে বিশ্ব জয় করেছেন। নাম তাদের সোহনা এবং মোহনা।





…………………………





২০০৩ সালে নয়দিল্লিতে জন্ম দুই ভাইয়ের। জন্ম থেকেই তাদের মাথা, হাত, শিরদাঁড়া ও হৃদয় আলাদা। তবে শরীরের নিচের অংশ একটাই। জন্মের পরই বাবা-মা দু’জনকে পরিত্যাগ করেন। দিল্লি এমসের চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচার করে তাদের আলাদা করার চেষ্টা করলেও শারীরিক জটিলতার কারণে সক্ষম হননি।
তারা দুই ভাইয়ে একই শরীর। এ রকম আমরা আগেও দেখেছি। তবে বাস্তবে তারা রীতি মতো চলে ফিরে বেড়াচ্ছেন, সরকারি চাকরি পাচ্ছেন, এমন বড় একটা দেখা যায় না। পঞ্জাবের অমৃতসরের সোহনা এবং মোহনা সে রকমই। হাজার শারীরিক প্রতিকূলতাকে হারিয়ে পেলেন সরকারি চাকরি। তাদের জীবন থেকে অনেকেই প্রেরণা পেতে পারেন।





…………………………





১৯ বছরের সোহনা এবং মোহনা গত ২০ ডিসেম্বর পঞ্জাবের রাজ্য বিদ্যুৎ কর্পোরেশনে চাকরিতে নিযুক্ত হয়েছেন। তাদের বেতন ২০ হাজার টাকা। ছোটবেলায় থেকেই পড়াশুনোয় ভালো দুই ভাই। স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমা করছিলেন। তখন থেকেই তারা সংস্থার নজরে ছিলেন। পড়া শেষ হতেই তাদের নিযুক্ত করল রাজ্য বিদ্যুৎ সংস্থা।
বিদ্যুৎ সংস্থার আধিকারিক রবীন্দ্র কুমার বলেন, ‘সোহনা এবং মোহনা বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশের দেখাশুনো করবেন। তাদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই এই কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে।’ পঞ্জাব সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে দুই ভাই বলেন, ‘চাকরি পেয়ে আমরা অত্যন্ত খুশি এবং পঞ্জাব সরকারকে ধন্যবাদ এই সুযোগটি দেওয়ার জন্য।’
এরপর তারা এ ভাবেই বড় হতে থাকেন। স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে ডিপ্লমা করেন। অতঃপর সককারি চাকরি। এই শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়েও যে এগিয়ে চলা যায়, তা দেখিয়ে দিলেন সোহনা এবং মোহনা।