গরুর খামার দিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন গোপালগঞ্জের জাহানারা বেগম চিলি। জেলার কাশিয়ানীতে দুইটি দেশি গরু দিয়ে খামার শুরু করেন তিনি। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তার খামারে দেশি-বিদেশি উন্নত চার জাতের ৩৫টি গরু রয়েছে।





চিলির খামার থেকে প্রতিদিন ৮০ লিটার দুধ পাওয়া যায়। এ দুধ প্রায় ৪০০০ টাকায় বিক্রি হয়। সব বাধা পেরিয়ে এখন তিনি জীবন’যুদ্ধে সফল এক নারী।
তার এমন সফ’লতায় এলাকার অনেক নারী, পুরুষ ও বেকার যুবকরা আগ্রহী হচ্ছেন খামারের প্রতি। এলাকায় তিনি এখন অনেকের কাছে অনু’করণীয় ব্যক্তিত্ব।
গোপাল’গঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বদিউজ্জামান খোকা মোল্যার স্ত্রী জাহানারা বেগম চিলি। সে তার পরিবারকে নতুন জীবন দিয়েছে গরুর খামার করে।





কিছুদিন আগেও সংসারে ছিল অভাব অনটন। সংসারের অভাব অনটনের কারণে যখন জীবন থেমে যাচ্ছিল তখনই খামার করার চিন্তা মাথায় আসে তার। মাত্র ২টি দেশি গরু দিয়ে খামার শুরু করেন তিনি।
বর্তমানে চিলির খামারে রয়েছে ফিজিয়ান, শঙ্কর, মন্টি ও শাহিওয়াল নামের উন্নত চার জাতের দেশি-বিদেশি গাভি, বাছুর, ষাড়সহ ৩৫টি গরু।
প্রতিদিন ১টি গাভি ১০ থেকে ১২ লিটার দুধ দিয়ে থাকে। বাজারে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে এই দুধ বিক্রি হয়। তা থেকে প্রতিমাসে প্রায় দেড় লাখ টাকা আয় হয় তার।
এমন উদ্যোক্তার কাজে সাহায্য করেছে তার স্বামী খোকা মোল্যা। খামার পরি’চর্যায় তিনিও বেশ ব্যস্ত। উন্নত’মানের শেটে রেখে গরুগুলোকে লালন-পালন করা হচ্ছে। প্রতিটি গরুর মাথার ওপর ফ্যান রয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আছে।





এর পাশাপাশি তিনি দেশি মুরগী ও ছাগলের খামার গড়ে তুলেছেন। এ মুরগী ও ছাগলের খামার করে ও তিনি লাভের মুখ দেখেছেন।
সব মিলে জাহানারা বেগমের খামারটি এলাকার আদর্শ খামার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এখন তিনি যেখানেই হাত দেন তাতেই যেন সোনা ফলে।
চাকরি না খুঁজে নিজেই নিজের পায়ে দাঁড়ানো যায় চিলি তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
এক সময় অভাব অনটনে ছেলে’মেয়েদের পড়ালেখার অসুবিধা হচ্ছিল। আজ তার পরিবার বেশ স্বচ্ছল।





জাহানারা বেগম চিলি জাগো নিউজকে জানান, “আমি গবাদি পশুর খামার করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছি। প্রতিদিন ৮০ লিটার দুধ বিক্রি করে ৪০০০ টাকা আয় হয়।
আমার এই খামার দেখে আশাপশের নারীরাও গবাদিপশু পালনে আগ্রহী হচ্ছেন।”
শিক্ষিত বেকার ভাইয়েরা চাকুরির পেছনে ছুটে বেড়ান। তারা এটা নিজেরা করলে আমার মতো তারা মানুষকে চাকরি দিতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, এ খামারকে আমি আরো অনেক বড় করতে চাই। এটি হবে একটি আধুনিক খামার।
জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আজিজ-আল-মামুন জাগো নিউজকে বলেন, “জাহানারা বেগমের গরুর খামারে সবগুলো গরুই উন্নত জাতের।





প্রাণী সম্পদ বিভাগ থেকে এই খামার নিয়মিত টিকা এবং ভিটামিন জাতীয় ওষুধসহ সকল সুবিধা পাবেন। আশা করছি গোপালগঞ্জের এই খামারটি একটি মডেল খামার হবে।”
©Worthytalkbd.com