মোঃ রুকুনুজ্জামান
শিক্ষা ক্যাডার, ৩৮তম বিসিএস।
★যা করতে হবেঃ
১. নিজের আঞ্চলিকতা পরিহার করতে হবে অর্থাৎ আপনার কথা যেন শুদ্ধ বাংলায় হয়।
২. আপনার কোন মুদ্রাদোষ থাকলে তা এখন থেকে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ অর্থাৎ হাতের আঙ্গুল নাড়ানো, মাথাবাঁকা করে কথা বলা,পা নাড়ানো, কথার পরে বুঝলেন বুঝলেন ইত্যাদি বলা ।
৩. হাঁটার সময় যেন কোন শব্দ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা, যদি এমন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে তা দূর করতে অভ্যাস গড়ে তোলা।
৪. পারলে এখন থেকে ছেলেরা ফরমাল সু(যেমন অক্সফোর্ড স্যু) এবং মেয়েরা যা পায়ে পরে ভাইবা দিবেন তা পরে হাঁটার অভ্যাস করুন।
৫. নিজের ঘরের দরজা টিকে ভাইভা বোর্ডের দরজা মনে করে দরজা খোলা এবং ঘর শূন্য থাকা অবস্থাতেও অনুমতি নিয়ে প্রবেশের অভ্যাস গড়ে তোলা।
৬. কারো সাথে কোন তর্কে জড়াবেন না। কেউ কোনো প্রশ্ন করলে স্বাভাবিক এবং Logical উত্তর দেয়ার চেষ্টা করুন। যাতে করে এই অভ্যাসটি ভাইভা বোর্ডে কাজে দেয়।
৭. আপনার Department’র রেজাল্ট যতই ভালো হোক না কেন অথবা বিসিএস রিটেন যতই ভালো দেননা কেন নিজেকে অতি পণ্ডিত ভাবা যাবেনা। কারণ PSC’র মেম্বার স্যারেরা আপনাকে চাকরিতে সুপারিশ করতে বাধ্য নন। তাই নমনীয় আচরণ সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।
৮. করোনাকালীন সময়ে ভাইবায় মাস্ক পরে VIVA দিতে হবে। তাই এখন থেকে মাস্ক পরে কথা বলার অভ্যাস গড়ে তোলা। আর যারা চশমা পরেন তাদের চশমা যেন মাস্ক পরিহিত অবস্থায় ঘেমে না যায়, তার দিকে নজর দেওয়া। আর মাস্কের কালার ছেলেদের টাইয়ের সাথে ম্যাচিং করে এবং মেয়েদের কামিজ/ শাড়ির সাথে ম্যাচিং করে পরিধান করা ভালো, এটি বর্তমান বাজারে সহজলভ্য। তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়। এটাতে মার্জিত লাগে আরকি!
৯. কয়েকজন ভাইবা প্রার্থী মিলে গ্রুপ করে mock ভাইবার অভ্যাস গড়ে তোলা, যা হবে পিএসসির অনুরূপ। এবং সকলে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় থাকতে হবে। কেননা খোলা মুখের থেকে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় কথা কম শোনা যায়। যা এখন থেকে অভ্যাস না করলে PSC’তে শ্রদ্ধেয় স্যারদের নিকট আপনি বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন।
১০. কথা বলার সময় Eye Contact ঠিক রাখা অর্থাৎ চোখে চোখ রেখে কথা বলার অভ্যাস করা।
১১. Whiteboard এ লেখার অভ্যাস তৈরি করা।
১২. আপনার কথা কতটুকু শুদ্ধ তা পরীক্ষা করার জন্য গুগল ভয়েস টাইপিং-এ টাইপ করতে পারেন। নিজের কথা বলার স্টাইল সম্পর্কে নিজেই বুঝতে পারবেন।
সর্বোপরি ভাইবা হল একটি আনপ্রেডিক্টেবল বিষয়। যার জন্য ভাগ্য অতীব জরুরি। তাই আমি মনে করি, মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।