Sat. Sep 23rd, 2023

    লেখক: শাহ মোহাম্মদ সজীব, প্রশাসন ক্যাডার (২য় স্থান), ৩৪তম বিসিএস।

    ★বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অনুসরণীয় বিষয়গুলো:

    ক) এটা লক্ষ করা গেছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নগুলো সব’চেয়ে বেশি রিপিট হয়ে থাকে। এমনকি কখনো কখনো অপশন-গুলোও সিরিয়াল অনুযায়ী পর্যন্ত ঠিক থাকে। তাই বিগত বছরের বিজ্ঞান প্রশ্ন’গুলো খুব ভালো করে পড়বেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যাখ্যাসহ পড়বেন।

    খ) বিসিএসের বাইরে অন্যান্য যে প্রতিযোগিতা-মূলক পরীক্ষা হয়, সেখানেও বিজ্ঞান-সম্প’র্কিত কিছু প্রশ্ন হয়ে থাকে। সেগুলো জব সলি*উশন থেকে দেখে নেবেন।

     

    গ) বিজ্ঞানের কিছু জিনিস চিত্র দেখে পড়বেন। এতে সহজে মনে রাখা যায়। যেমন হৃৎ’পিণ্ডের চিত্র দেখে আপনি খুব সহজেই হৃৎ’পিণ্ডের গঠন ও অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাবেন। যদি বই ও গাইডে চিত্র না থাকে, তবে নেটে একটু খোঁজ নেবেন। আশা করি, পেয়ে যাবেন।

    ঘ) সময় থাকা সাপেক্ষে অষ্টম ও নবম-দশম শ্রেণির সাধা’রণ বিজ্ঞান বই দুটি দৈনন্দিন বিজ্ঞানের অংশ হিসেবে পড়ে নেবেন। অনেক সময় বিস্তারিত পড়লে বোঝাও সহজ হয় এবং মনে রাখাও সহজ হয়। যাঁরা বিজ্ঞানে দুর্বল, তাঁদের জন্য এটি সব’চেয়ে কার্যকর পদ্ধতি।

    ঙ) একটি গাইড অবশ্যই সংগ্রহে রাখবেন, যেখানে সিলে*বাসের সঙ্গে মিল রেখে আলোচনা করা হয়েছে। MP3 দৈনন্দিন বিজ্ঞান গাইড হতে পারে।

     

    চ) টপিকস-গুলোর গুরুত্ব ঠিক করবেন বিগত সালের প্রশ্নের উপ’স্থিতির সঙ্গে মিল রেখে। অর্থাৎ যা আসছে তার প্রাসঙ্গিক তথ্যগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

    ছ) বিজ্ঞানের কিছু গুরুত্ব*পূর্ণ অধ্যায় হলো আলো, তাপ, শব্দ, বিদ্যুৎ, গুরুত্ব’পূর্ণ আবিষ্কার, বিভিন্ন পরিমাপক যন্ত্র,

    চুম্বকত্ব, টিস্যু, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, খাদ্য ও পুষ্টি, রোগ, কসমিক রে ইত্যাদি। এগুলো আগে পড়বেন।

    জ) কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তির জন্য সময় থাকা সাপেক্ষে প্রকৌশলী মুজিবুর রহমানের HSC কম্পিউটার বইটি পড়বেন। অনেক কিছুর ভালো ব্যাখ্যা দেওয়া আছে।

    ঝ) বিভিন্ন ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষায় কম্পিউ’টারের ওপর ভালো মানের প্রশ্ন হয়ে থাকে। যদি সম্ভব হয়, একবার দেখে নেবেন। অন্তত সরকারি ব্যাংক*গুলোর কম্পিউটার-বিষয়ক প্রশ্ন দেখবেন।

     

    ঞ) কম্পিউটার অংশের জন্য একটা গাইডই যথেষ্ট। সেটা হতে পারে জর্জের লেখা ইজি কম্পিউটার।

    ট) কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিকস হলো কি-বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ কির কাজ, স্মৃতি*সংক্রান্ত পরিমাপ, কম্পিউ’টারের ইতিহাস, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক,

    ইন্টারনেট-ব্যবস্থা, তথ্য-প্রযুক্তির বড় প্রতিষ্ঠান ও তাদের কাজ, MS এক্সেলের মূল কাজ ইত্যাদি।

    ঠ) দৈনিক কমপক্ষে এক ঘণ্টা সময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপর পড়া-শোনা করার জন্য বরাদ্দ রাখবেন। প্রস্তুতিটা ধাপে ধাপে সামনের দিকে নিয়ে যাবেন।

    ড) যদি কারও কাছে কোনো বিষয় কঠিন লাগে, তাহলে মৌলিক বইগুলোতে দেখে নিন। এতে সহজ হতে পারে।

     

    ঢ) তথ্য ও প্রযুক্তির দিক-পালদের সংক্ষিপ্ত কর্ম ও জীবন সম্পর্কে ধারণা নিন। যেমন বিল গেটস, স্টিভ জবস, জেরি ইয়াং ইত্যাদি।

    ণ) নতুন কোনো আলোচিত ও আলোড়িত বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার হলে তার ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করুন।

    ত) টেক’নিক্যাল টার্ম সম্পর্কে ভালো ধারণার জন্য প্রয়োজনে অভিজ্ঞ কারও সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে।

    থ) বিজ্ঞান বিভাগে যাঁরা পড়েছেন, তাঁরা আবার এই বিষয়টি তত হালকাভাবে নেবেন না। তাহলে জানা জিনিসও ভুল হয়ে যেতে পারে।

    দ) কাজকে সহজ করতে সরকার যদি বিশেষ কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার করে, তবে তা জেনে নেবেন। এটা দৈনন্দিন জীবনে আই-সিটির ব্যবহার অংশে প্রশ্ন হতে পারে।

     

    ধ) পদার্থ, রসায়ন ও চিকিৎসাবিজ্ঞানে যাঁরা সর্বশেষ ও আলোচিত ব্যক্তি হিসেবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, তাঁদের সম্পর্কে একটু জানুন। বিশেষ করে, নোবেল পাওয়ার সাল ও কারণ মনে রাখুন।