




@শাহ্ মোঃ সজীব
বিসিএস প্রশাসন, ৩৪তম বিসিএস।
একটা কথা প্রায়ই শোনা যায়, “একাডেমিক বা জবের পড়াশোনা করতে ভাল লাগে না!” কথা ঠিক কিনা? এটি যদি আপনারও হয়ে থাকে তাহলে ঠিক আছে। মানে কথা হলো, আপনারও যদি এসব পড়তে ইচ্ছা না করে তবে আপনি সুস্থ আছেন।
…
আরে ভাই পড়তে ভাল লাগবে না এটাই স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক (নিজের একান্ত কিছু বিষয় ছাড়া). তাই যাদের সবই পড়তে ভাল লাগে তারা অসুস্থ। কারণ মানব দেহ ও মন সর্বজ্ঞান সহনশীল নয়! তাছাড়া নোরা ফাতেহী, সানি লিওন, নারগিস ফখরি এর যুগে পড়ার সবকিছুতে মনোযোগ দেয়াও কঠিন। এর বাইরে আছে বিগো বৌদিদের তান্ডব। দাদারাও কম যায় না। তারপরও যদি কারো সবই পড়তে ভাল লাগে তবে তাকে আর যা-ই বলা যাক না কেন সুস্থ বলা চলে না।





…………………………





আবার ধরুন কেউ একজন সারাজীবন জীববিজ্ঞান পড়েছে। তার প্রিয় অধ্যায় হলো জনন। কেন জনন তা রহসময়! কিন্তু তাকে যখন নবাব সিরাজ উদ দৌলা এর পতনের কারণ পড়তে হয় তখন তার ভাল লাগবে না এটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া মানব সমাজে আরো অনেক কিছু আছে যা আমাদের ভাল লাগে না। যেমন- অসুখ হলে ডাক্তারের কাছে যেতে হয়। ভাল লাগে আপনার?
সিরিয়াল দাও। অপেক্ষা করো। সব কিছু খুলে বলো। টেস্ট করাও (কখনো অযথাই)। কখনো অপারেশনও করাতে হয়। ভাল লাগে এসব। তবুও করতে হয়। এটাই জীবন। শুধু এটা নয় আরো আছে। এমন অনেক স্বামী বা স্ত্রী আছে যারা তার কাউন্টার পার্টকে ভাল লাগা ছাড়াই চল্লিশ বছর পার করে দেয়। বাচ্চা কাচ্চাও আছে!! কি করবে বাপ মা ঝুলিয়ে দিয়েছে। কখনো নিজেরাই ঝুলিয়ে নিয়ে ঝুলে যায়। এটা ঠিক না বেঠিক তা বলতে চাই না।
…..
তাই একাডেমিক বা জব সংক্রান্ত পড়াশোনা আপনাকে করতেই হবে। ভাল লাগলে ভাল। ভাল না লাগলেও ভাল। এই সত্য বচন ও বাস্তবতা যারা মেনে নেয় রেজাল্ট শিটে তাদেরই রেজিষ্ট্রেশন নম্বর খুঁজে পাওয়া যায়।





……………………….





বড় বড় বাণী দিয়ে তো লাভ নেই। সফলতার মূলমন্ত্র হলো পড়াশোনা। জ্বি হ্যা! তিতা ঔষধ নাক চেপে যেমন গিলে ফেলেন তেমনি অপছন্দের বিষয়গুলো দাঁতে খিঁচ দিয়ে পড়ে ফেলুন। কাজে লাগবে। হা হুতাশ করে তো কিচ্ছুটি হবে না। কারণ আপনি এসব বাস্তবতা না মানলেও কিছু লোক ঠিকই মানবে। আর গোল দিয়ে দিবে। মনে রাখবেন, জমি কখনো ফাঁকা পড়ে থাকবে না। আপনি চাষ না করলেও আরেকজন ঠিকই চাষ করে দিয়ে চলে যাবে! সকল জমিই!!





Source: Collected from Internet