Mon. Jun 5th, 2023

    ….. …….. ……. …….. …….

    ইচ্ছা আর চেষ্টা থাকলে মানুষের কাছে অসম্ভব বলে কিছু নেই। তারই প্রমাণ দিলেন ঝালকাঠির মেয়ে কামরুন্নাহার তামান্না।     জীবন যুদ্ধে জয়ী হয়ে সে পৌঁছে গেছে চূড়ান্ত লক্ষ্যে। তামান্না এখন BCS ক্যাডার।  রেজওয়ানা আক্তার তন্নী, কামরুন্নাহার তামান্না, শামসুন্নাহার রিমি তিন বোন। তামান্না বোনদের মধ্যে মেজ।

    ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয় থেকে ২০০৮ সালে GPA-4.81 পেয়ে SSC এবং ২০১০ সালে ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজ থেকে GPA 4.50 পেয়ে HSC উত্তীর্ণ হন।   এরপর পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে কৃষি বিষয়ে অনার্সে ভর্তি হয়ে ২০১৫ সালে জিপিএ ৩.৮৬ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ওই বছর কৃষিতত্ত্ব বিষয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হয়ে জিপিএ ৩.৮৮ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কামরুন্নাহার তামান্না কৃষি ক্যাডারে নিযুক্ত হয়েছেন।

    তার বাবা আব্দুল আজিজ হাওলাদার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্পিডবোট চালক। মা লাইজু বেগম গৃহিণী। শহরের কৃষ্ণকাঠি ওয়ার্ডের                  গুরুধাম এলাকায় বসবাস তাদের।   তার এ সফলতার জন্য মা-বাবার চেষ্টা ও অনুপ্রেরণাই একমাত্র অবলম্বন বলে জানান তামান্না। তিনি বলেন, আমরা তিন বোন, কোনো ভাই নেই। আমরাই বাবা-মার একমাত্র অবলম্বন।

    স্বল্প আয়ের বাবার খরচে তিন বোনের পড়াশোনা ও সংসার চালানোয় টানাপোড়েনের কারণে প্রতিবেশীরা অনেকে কটাক্ষ করত। ‘মেয়ে হওয়া দুর্বলতা নয়, শক্তি’ এ দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এবং আল্লাহর রহমতে সফলতায় পৌঁছতে সক্ষম হয়েছি।’   বাবা আব্দুল আজিজ হাওলাদার বলেন, ১৯৮৭ সালের জুলাই মাসে                       ৭০ টাকা মূল বেতনে চাকরি নিই। ১৯৮৮ সালে বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করি।   চাকরির সুবাদে আমাকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সময় পার করতে হয়েছে। অনেক কষ্ট করে মেয়েদের মানুষ করার চেষ্টা করছি। বড় মেয়ে তন্নিকে ইতালি প্রবাসী ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছি।

    মেজো মেয়ে তামান্না আর ছোট মেয়ে রিমি বরিশাল ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে                   অনার্স প্রথম বর্ষে অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা করছে। মেয়ে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এটাই আত্মতৃপ্তি বলে সন্তোষ প্রকাশ করেন তামান্নার বাবা আব্দুল আজিজ হাওলাদার।   প্রসঙ্গত, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হলরুমে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তামান্নাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক।   এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার                 বিভাগের উপ-পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন মাতব্বর,

     

    অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. জাকির হোসেন, মো. মানিকহার রহমান, মো. সাইদুজ্জামান              ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতাহার আলী মিয়া।

    তথ্যসুত্রঃ জাগোনিউজ২৪ (২৩ অক্টোবর ২০১৭)