Mon. Jun 5th, 2023

    …………………………………

    ‘তোমরা দেশের জন্য কিছু করবে। মানুষের জন্য কিছু করবে। সব সময় চেষ্টা করবে সবার উপকার করতে।’ মুক্তিযোদ্ধা বাবার এই উপদেশ বাণীকে ধারণ করে আজ কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার আপন দুই ভাই                          সহকারী পুলিশ সুপার (এসএসপি) হয়েছেন। বড় ভাই মঞ্জুরুল ইসলাম ৩৭তম BCS এবং ছোট ভাই মীর মুহসিন মাসুদ রানা ৩৬তম BCS পুলিশ ক্যাডারে এএসপি হিসেবে সুপারিশ*প্রাপ্ত হয়েছেন।

    চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের শামসপাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহাল উদ্দিন ও                   মমতাজ বেগম দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে দুই সন্তান এসএসপি হয়েছেন।  অবসর*প্রাপ্ত সেনা সদস্য মুক্তিযোদ্ধা বাহাল উদ্দিন জানান, তিনি ২০০৪ সালে অবসর গ্রহণ করেন। সন্তানদের মধ্যে বড় ছেলে মমিনুল ইসলাম বে-রসকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
    মেজো ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম ও ছোট ছেলে মীর মুহসিন মাসুদ রানা                       প্রায় দুই বছরের ছোট-বড়। মেজো ছেলে ৩৭তম BCS এবং ছোট ছেলে ৩৬তম বিসিএসে নির্বাচিত হয়েছেন। বাবা হিসেবে আমি আজ স্বার্থক। ছেলেরা দেশ ও মানুষের                        জন্য কাজ করতে পারবে।

    ……………………………………

    গর্বিত মা মমতাজ বেগম বলেন, আপন ভাই হলেও আচরণে পুরোপুরি ভিন্ন তারা। মেজো ছেলে যতোটা ধীর স্থির শান্ত তেমনি উল্টো চিত্র                       ছোট ছেলের ক্ষেত্রে সে দুষ্টু ও দুরন্ত স্বভাবের। মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের দোয়া কবুল করেছে।।
    মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, তিনি রাজারভিটা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা থেকে ২০০৪ সালে দাখিল এবং ২০০৭ সালে                         চিলমারী ডিগ্রি কলেজ থেকে HSC পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিষয়ে পড়াশোনা করেন।

    মীর মুহসিন মাসুদ রানা বলেন, থানাহাট এইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হতে ২০০৬ সালে জিপিএ-৫ পেয়ে SSC, এবং রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০০৮ সালে HSC পাস করেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ                           থেকে ভেটেরিনারি বিষয়ে পড়াশোনা করেন।
    দুই ভাই জানান, বাবার আদর্শ আর উপদেশ নিয়েই তারা আজ এই পর্যায়ে এসেছেন। তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের সেবা করার জন্য পুলিশ ক্যাডার ছিল তাদের প্রথম পছন্দ। মা-বাবার অনুপ্রেরণা ও                             আত্মত্যাগের কারণেই আজ তারা এই অবস্থানে উঠে এসেছেন।

    মঞ্জুরুল ইসলামের স্বপ্ন কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে মানুষের সেবা করা। এ লক্ষ্যে কমিউনিটি পুলিশিং-কে এমন                         পর্যায়ে নিয়ে যেতে চান যাতে করে ঘটনা ঘটার অগেই তা প্রতিরোধ করা যায়।
    বড় ভাইয়ের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ছোট ভাই মীর মুহসিন মাসুদ রানা বলেন, এমনভাবে কাজ করতে চাই                          যেন বাংলাদেশ পুলিশ বিশ্ব দরবারে রোল মডেল হয়ে উঠতে পারে।

    একটি পর্যায়ে এমন বাংলাদেশ দেখতে চাই- যেখানে অপ’রাধ বলতে কিছু থাকবে না।
    তথ্যসূত্রঃ জাগো নিউজ ২৪ (১১ জুলাই ২০১৮)