




…………………..





ছোট বেলা থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখতেন এমন কিছু করার যা দিয়ে মানুষের সেবা দেয়া যায়। পরীক্ষার খাতায় রচনা লেখার সময় তিনি ডাক্তার বা শিক্ষক হতে চাই বলে ইচ্ছা পোষণ করতেন। তবে সেটা ছিল ফ্রেমে বাধা স্বপ্ন। বইয়ে ছিল বলেই লিখতেন। সেটা তার স্বপ্ন ছিল না। তার ইচ্ছা বড় হয়ে দেশের সেবা করা। সেই ইচ্ছা থেকেই নিজের স্বপ্নকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন তিনি। ৩৮তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি।
…
তবে বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশ;প্রাপ্ত আগে তিনি সরকারি ৯ম-১০ম গ্রেড চাকরির ২০টা ভাইভা দিয়েছিলেন। শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানার ইদিলপুর ইউনিয়নের আমিমুল এহসান শিমুলের সফলতার গল্প এটি। কিভাবে স্বপ্নকে ছুঁয়েছেন তিনি শুনুন তাঁর নিজের মুখেই- শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানার ইদিলপুর ইউনিয়নের দাসের জঙ্গল গ্রামেই তার শৈশবকাল কেটেছে। ইদিলপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থেকেই স্বপ্নের বীজ রোপন করেছেন তিনি। শিমুল বলেন,আমার বাবা মো:সাহাবউদ্দিন ছিলেন ইদিলপুর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গনিতের শিক্ষক। বাবা তার ছাত্রছাত্রীদের সফলতার গল্প প্রায়ই আমাকে বলতেন আর তৃপ্তি পেতেন।





…………………





আর সেই সব গল্প শুনেই নিজের মনে ইচ্ছে জাগে বাবার সফল ছাত্রছাত্রী নয়, এবার নিজের ছেলে হয়েই বাবাকে তৃপ্তি দেব। শিমুল আরও বলেন,তিনি ইদিলপুর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০০৭ সালে বিজ্ঞান বিভাগ এবং ২০০৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে ঢাকা ইমপেরিয়াল কলেজ হতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হন। এরপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স দুই পরীক্ষাতেও প্রথম বিভাগেই উত্তীর্ণ হন।
…
৩৭তম ছিল জীবনের প্রথম বিসিএস তবে হয়নি, তাই বলে আশাহত হয়নি, আস্থাও হারাইনি। এরপর ৩৮তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হলাম। আল্লাহর অশেষ রহমতে শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। তাতে যতটানা খুশি হয়েছি তার চেয়ে বেশি আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছি। সবসময়েই পরিশ্রমের সাথে ধৈর্য ধারণ করেছি। আমার এতটুকু আসার পিছনে আমার মা-বাবার দোয়া, বড় ভাইযের সাহস, শিক্ষকদের অনুপ্রেরনা, সহপাঠীদের আন্তরিকতা আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। আমি সবার কাছে দোয়া চাই, যেন দেশ ও দশের সেবা করে যেতে পারি।





………………….





শিমুল আরো জানান, দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে দেশের বাইরে থেকে উচ্চতর গবেষনায় ডিগ্রী অর্জন করার ইচ্ছে আছে তার।





তথ্যসূত্রঃ বেকার জীবন ডটকম