Thu. Sep 21st, 2023

    বিসিএস ও Private University! শুনলেই যেন অনেকেই নাক শীটকান। তাদের চমকিয়ে দেয়ার জন্য AUST এর ওয়ালিদ’ই যথেষ্ট। ৩৪ বিসিএস-এর Merit List-এ সবার সেরা হওয়া ওয়ালিদ বিন কাশেম ঢাকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। নিজের ইচ্ছা শক্তি আর মেধার জোরে ওয়ালিদ নিজেকে নিয়ে গেছেন এক অন্যমাত্রায়।

    বিসিএস-এর স্বপ্ন দেখা হাজারো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উৎসাহের খাতায় নিজের নামটি লিখেয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয় বিসিএসের ইতিহাসে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে ১ম হওয়ার গৌরবের পুরো অংশটিও তার হাতে।

    ওয়ালিদের ছোটবেলা কেটেছে বরগুনা জেলার আমতলি উপজেলায়। সেখানে কাটিয়েছেন দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত। কিশোর জীবন কেটেছে খুলনা ও বরিশালে বাবার চাকরির সুবাদে। কিন্তু তার জন্ম গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলায়।

    তারপর বাবার চাকরির সুবাদে চলে আসেন ঢাকায়, ভর্তি হন ঢাকার একটি বিদ্যালয়ে, তার উচ্চ মাধ্যমিক শুরু হয় মতিঝিল সরকারি বয়েজ হাইস্কুলে। ওই স্কুল থেকে ২০০৩ সালে Science থেকে অর্জন করে নেয় জিপিএ-৫ নামক তকমাটি।

    তারপর ভর্তি হন স্বপ্নের কলেজ নটর ডেম কলেজে। সেখান থেকে ২০০৫ সালে HSC পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও বঞ্চিত হন GPA-5 থেকে, পান ৪.৭৫। মেধাবী ওয়ালিদ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায়ও ব্যর্থ হয়েছিলেন তাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালই ছিল তার শেষ ভরসা।

    হাল ছাড়ার পাত্র তিনি নন। তাই ভর্তি হন আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। সেখান থেকেই কৃতিত্বের সাথে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করার পর ভর্তি হন Dhaka University’র ইনষ্টিটিউট অব রিনেবল এনার্জি বিভাগে।

    সেখানেও সফলতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে শেষ করেন পড়াশোনা, সেই সঙ্গে পেয়ে যান জাপানের Scholarship । তারপর পাড়ি জমান জাপানে। জাপানে পাড়ি দেয়ার আগে কাজ করেছেন SAARC Energy Regulatory Commission ও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের পলিসি মেকিং-এ।

    পারিবারিক জীবনে তিনি বিবাহিত। এতো কিছুর মাঝেও জীবনের এমন গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করতে ভুলেননি ওয়ালিদ। এক কন্যা সন্তানের বাবাও হয়েছেন। পরিবারে দুই-বোন ও এক-ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবচেয়ে ছোট। তার মা একজন গৃহিণী, আর বাবা ছিলেন বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের একজন সরকারি চাকরিজীবী, অবসর গ্রহণের আগে ছিলেন অতিরিক্ত সচিব পদে।

    ছেলের এই কৃতিত্বের খবর যখন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে, তখন তার বাবা-মা দু’জনেই হজ্বে ছিলেন। নিজের এমন কৃত্বিত নিয়ে ওয়ালিদ বলেন, আমার কখনো ১ম হওয়ার স্বপ্ন ছিল না কিন্তু হয়ে গেছি এই অনুভূতি অন্যরকমের।