




…………………………





বার বার পরীক্ষা দিয়েও যাদের জব পেতে দেরী হচ্ছে তাদের জন্য: ধরুন আপনি জীবনের প্রথম চাকুরীর পরীক্ষা দিলেন এক্সিম ব্যাংকের টিও পদে। রিটেনে টিকে আকাশচুম্বী আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ভাইভা দিলেন। ভাইভা বোর্ড আপনার আত্মবিশ্বাসের বারোটা বাজিয়ে ছেড়ে দিল। রেজাল্টে আপনার নাম নেই। এরপর একে একে প্রিলি দিচ্ছেন আর ফেইল করছেন। হঠাৎ কৃষি ব্যাংকের অফিসারে ভাইভা দেয়ার সৌভাগ্য হলো। হাই সিকিউরিটি ভেদ করে বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকে ভাইভা দিয়েই নিজেকে অফিসার
……
ভাবা শুরু করে দিয়েছেন। ফাইনাল রেজাল্টে আপনার রোল নেই। কিছুদিন পরে যে সেকেন্ড লিস্ট দিল সেখানেও আপনি নেই। কষ্ট চাপা দিয়ে পড়াশোনা শুরু করলেন। ২০১৮ সালের প্রতিটি ব্যাংক এক্সামে প্রিলি টিকে ম্যাথের দুর্বলতার কারণে কৃতিত্বের সাথে রিটেন ফেইল করা শুরু করলেন। কোনমতে সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে ভাইভায় ডাক পেয়ে আবারও স্বপ্ন দেখা শুরু করলেন। যেদিন রেজাল্ট দিল দেখলেন আপনার বন্ধুরা সবাই আছে নেই শুধু আপনি। ইতোমধ্যে আপনার





…………………………





অনেকগুলো কাছের বন্ধুরা বিভিন্ন জব করে আর আপনি আগারওয়ালের ম্যাথ এবং আলজেরিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নাম মুখস্থ করেন। মাঝখানে যে আপনি বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসার পদে ভাইভা দিয়েছিলেন তাই ভুলে গেছেন। হঠাৎ একদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসার ভাইভার রেজাল্ট দিল। অবিশ্বাস নিয়ে চেক করে দেখলেন আপনার রোলটা আছে। জয়েন করে দেখলেন: বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার, বিভিন্ন ননক্যাডার, প্রাইভেট ব্যাংকের এমটিও, সরকারি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ছেড়ে আপনার
সাথে অফিসার পদে অনেকেই জয়েন করছে। যে জব গুলো না পেয়ে এতদিন আপনার কষ্ট লাগত এবার সব দূর হয়ে গেছে। তাই না? প্লিজ! লেগে থাকুন। আপনি যা ভাবছেন তারচেয়েও ভালো জব পাবেন। ইনশাআল্লাহ। মাহমুদ মিরাজ অফিসার (জেনারেল) ব্যাচ -২০১৯ বাংলাদেশ ব্যাংক।